বহুদিন পর আজ বসলাম। ইদানিংকালে storytelling concept আমাকে আকর্ষণ করছে তাই আজ নিজের story নিজে লিখব, যে story কোনদিনও প্রকাশ পেল না, পেলে কি হত জানা নেই কিন্তু সেদিন সেটাই ছিল সব। আমার জীবনের 31 বছর যে বাড়িতে কেটেছে তার কোন একদিন এ চলে যাই, মনে অনেক দিন আছে কিন্তু এরকম এক বা একাধিক দিন যা আজ ভাবলে ভালো লাগে।
কালীঘাটের পাঁচতলার ফ্ল্যাটটার ট্যাড়া-বেঁকা সবচেয়ে বড় ঘরটা ছিল মা-বাবার বা আমাদের। 550 স্কয়ার ফিটের কার্পেট এরিয়ার 3 room set তাতে 6 জন প্রাণী যে যেখানে পারে ফিট হয়ে গেছিল। বড় ঘরটার উত্তর দিকে একটা জানালা ছিল যা দিয়ে নিচের রাস্তা, মানুষ, গাড়ি বাড়ি, ইডেন গাডেন এর লাইটপোস্ট, হাওড়া ব্রিজ, দ্বিতীয় হুগলী সেতু সবই দেখা যেত।
সেই উত্তরের জানালায় অনেক স্মৃতি। শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা কোন সময় জানালা বন্ধ হতো না। সকলের প্রিয় জায়গা ওটা, বলতে গেলে coveted
place। জানালা দিয়ে কখনো পাশের বাড়ির তৈরি হওয়া, বন্ধের দিন নীচে পাড়ার ছেলেদের ফুটবল বা ক্রিকেট দেখা, বিশ্বকর্মা পুজোর দিন আমার প্রাণপাত ঘুড়ি ওড়ানোর প্রচেষ্টা। মাঝেমধ্যে দক্ষিণের ফুরফুরে হাওয়া ঘুড়িটাকে উড়িয়ে নিয়ে যেত তিনতলা বাড়ীর হাইটে. তারপর হাওয়ার দমক হারিয়ে গেলে লুটিয়ে পড়তো রাস্তাতে কখনো বা চলন্ত ট্যাক্সির চাকার নিচে কিম্বা তার মাথায়।
কিন্তু সবচেয়ে বড় স্মৃতি বোধহয় taxi চালানোর উপাখ্যান. ঠাকুরমার একটা অ্যালুমিনিয়ামের saucepan ছিল, সেটা সুন্দর ফিট করে যেত জানালার গ্রীলের ফাঁকে steering wheel এর মতন একটু এঙ্গেল করে। তাই ওটার মালিকানা transfer হয়েছিল আমার নামে কোন আইনি কাগজপত্র ছাড়াই। দিদির একটা কাঠের স্কেল ছিল সেটা আমার গাড়ির গিয়ার ছিল। মায়ের একটা ড্রেসিং টেবিল tool, যা আজও বর্তমান, ছিল driver seat। ওটার উচ্চতা এত সুন্দর ছিল যে আমার মতন সুদক্ষ ড্রাইভার এর আই সাইটের obstruction হত না. আমি আশেপাশের মানে নীচের সমস্ত গাড়ি দেখতে পারতাম। বাঁ হাতে সীটে একটা খাঁজে কাঠের স্কেল গুঁজে gear control করতাম আর ডান হাতে স্টিয়ারিং হুইল। অসাধারণ ড্রাইভিং, ব্রেকের অসুবিধে হয়নি কখনো clutch এর ও প্রয়োজন ছিল না। horn তা অবশ্য মুখ দিয়েই দিতে হতো। Passenger
রা যেকোনো জায়গা থেকে যেকোনো জায়গায় যেতে পারত টাকা লাগত না, refusal ছিলনা। প্যাসেঞ্জার থাক না থাক গাড়ি সবসময় চলত তেল ভরার বালাই ছিল না। যেকোনো রুটে গাড়ি চলত সব রুট ছিল জানা।
শুনেছি ছোটবেলা থেকে যে যেটা ভেবে বড় হয়ে সেটা করলে সবচেয়ে successful হয়। মনে নেই ঠিক কোনটা প্রথম হতে চেয়েছিলাম taxi driver না বাস/ট্রাম conductor। কিন্তু বড় হয় এই দুটোর একটাও হতে চাইতাম না সে ব্যাপারে আজ নিশ্চিত। কলকাতার রাস্তার সর্দার taxi driver এবং তাদের রাস্তার জ্ঞান আমাকে মুগ্ধ করতো কিছুটা thrilling লাগতো।
কন্ডাকটার দেখে বেশ লাগতো। ইউনিফর্ম পড়ে টিকিটের bunch এ হাতের বুড়ো আঙ্গুল দিয়ে একটা অদ্ভুত শব্দ করে যখন টিকিট চাইত মনে হতো কত ক্ষমতা ওদের, টিকিট কেনার জন্য লোকে টাকা বের করে দিচ্ছে। যখন স্কুল কলেজে পড়ি, জীবনের preliminary romanticism গেছে তখন দেখলাম conductor ইউনিফর্ম পড়ে না, রাস্তাতেও সর্দার ট্যাক্সিওয়ালা দেখা যায় না।