Friday, November 20, 2020

Psychologist & Psychriatist

The moment you say you have visited one of them, eyes will start looking towards you, as if you are a Zombie....those who are a bit more politically correct will avoid immediate eye contact to hide their expression. But invariably among the acquaintance circle the Hush will keep growing.......for having turned mad, mentally disturbed. The basic assumption is that there cannot be "any smoke without fire". Quite strange still in our country Mental Health Issues are for 'Other Planet Residents' and not a normal health concern.

Mordern City Life, Financial Needs & Work-Life imbalance has generated or instigated several mental issues, which people don't speak off, considering career prospects, image building etc. Very Often you hear people telling friends or relatives too busy to call/meet, stating professional demands....which either they are ignoring or too stressed out to even talk for a while.In Corporate World Slide Shows/Presentations, Meetings, Safety Moments Mental Health Issues get discussed but not much beyond some procedural formalities.

Sometime in the past, in a filthy atmosphere, the increasing irritation of having to deal with unethical, manipulative, spineless, visionless, insensitive, arrogant, unprofessional individuals on a daily level was causing prolonged mental disturbance. The resistance was too much to really change things for the better, even though everything was crystal clear. The unsystematic system & it's existing players were not feeling Safe & Comfortable to come out and try to make a better tomorrow. The viscous  cycle kept repeating.  This was compounded by some personal disturbances & damages. To remain calm, composed & decent things were taking its Toll to the extent that prolonged sleep disturbance became chronic. 

A good old friend suggested to consult some professional....and I went for Psychologist Consultation. He said, "first of all thanks that you came so early, no one speaks of this problem. It's a really strainous when you have to deal with such unwanted people on a daily basis....it's a pity when TRUST factor becomes zero. I think you will not need to come back again just follow one of the 2 things that will do, if you Love Yourself.

1) Ignore the people, or what they say & keep being decent : a tough one as you have to live day in and day out in the Negativity

2) Show the mirror : be ruthlessly straightforward, call a spade a spade right on the face. People will find it rude/uncomfortable, your image/fortune will be destroyed, but you will continue to Live happily. No use being nice & decent to useless people. Be yourself and don't pause to please others. "

 


Thursday, November 05, 2020

Letter to Friend

Dear Friend,

First I need to apologize for being late, perhaps not too late, to acknowledge Your significant contribution in my life. The way You have accepted, honoured and lifted me leaves me with no other words but to say Thank You.

Journeys are subjected to end & so did ours. And in all probability the chances of any future interactions are remote or next to impossible. Or even if we meet again the past will be the reason which shall shape the future.

Our interactive moments might have been brief but those short spells are Life Time Memories. The way you have helped & supported me, at times advised or guided me has only enriched my life. Though the word 'debt' is not apt in a friendship but yet I remain indebted to You for the rest of my life.

It was never always smooth, we have had our differences, egos but You have always stood up to pamper or cajole me and bringing things back to normal. It was your efforts which made the journey memorable. You were the source of inspiration and key to stress relief at extreme times.

As we embark on different ships Your absence will be severely felt. Hope you have not Hated to be a part in our voyage, if so pardon My Arrogance & Imperfections.

Wishing you All the Best for a New Beginning. My apologies & thanks.....

Regards
Me & Myself

 


Wednesday, October 14, 2020

হিজিবিজি

Disclaimer : যাদের নিচের ভাঁট-talk পড়ার ইচ্ছে নেই, বুদ্ধিমানের মতন ভাবছেন, একদম তাকিয়েও দেখবেন না | যারা দোনো-মনো করছেন তারা আর একবার ভেবে নিন কি করবেন, এখনো সময় আছে | বাকি যারা ঠিক করে ফেলেছেন পড়বেন তারা পরে ফেলুন, মাথা ধরে গেলে Saridon খেয়ে নেবেন, garbage মনে হলে উপেক্ষা করবেন, রেগে গেলে block করে দেবেন বা FB কে কমপ্লেইন করবেন.....আর কিছুই নাহলে বলতে হবে...এরকম Junk এ আপনারা অভ্যস্ত ! কোনো মানুষ, জীব, জন্তু, কীট, পতঙ্গ, গাছ পালা, পাথর, ধুলো বালি.....কারুর কোনো ক্ষতি বা অবমাননা করা এই রচনার উদেশ্য নয়......তাই অকারণ আবেগ বর্জন করতে পারলে তবেই এটাই পড়ুন | আপনাদের কোনো আবেগের জন্য আমি দায়ী নয়......এমনি আবেগের অনেক খেসারত আমাকে দিতে হয়েছে, আর দেব না | আর আমি চিররিক্ত, তাই case ঠুকে এক পয়সাও পাবেন না....শুধু যদি একান্ত কোনো ব্যাক্তিগত বদলার ইচ্ছে থাকে তাহলে হাজত বাস করাতে পারেন |

 

ভিভ রিচার্ডস, ডন ব্র্যাডম্যান, দিয়েগো মারাদোনা, আলবার্ট আইনস্টাইন, এলোন মাস্ক, সত্যজিৎ রায়, স্টিভ জব্স....এদের কারুর মতন কোনো প্রতিভা আমার নেই বা ছিল না.....না তো আমি কোনো charismatic চরিত্র, তাহলে পরে লাভ কি.....ডাল ভাতের মতন ম্যাড়ম্যাড়ে জিনিস পড়বেন কেন ? (শুদ্ধ শাকাহারীরা আবার কিছু মনে করবেন না এই তুলনাতে).....একটাই লাভ দেখবেন......হয়তো কিছু একটা আপনার সঙ্গে মিল আছে, আপনি বলতে পারেন না, আমি নির্লজের মতন বলি | এই একটা মানসিক সান্তনা পাবেন কিছু মুহূর্তের.....যাক কারুর সঙ্গে তো মিল আছে !

 



Early Life

ছাত্রজীবন :

খুবই চ্যালেঞ্জিং জীবন ছিল আমার, বার বার গন্ডি পেরোনোর উত্তেজনা, একটু এদিক ওদিক হলেই গন্ডির  এপারে আর এক বছর.......তখন তো সমাজ, বন্ধু পরিবার এর background  music  আর echo যাবৎজীবন শুনে কাটাতে হবে | চতুর্দিকে চ্যালেঞ্জ | ১০+২ এর রাসায়নিক বিজ্ঞান এর বিদিকিচ্ছিরি অত্যাচারে আমাকে সব সময় মনে রাখতে হতো.....Failure Will be the "Pillar of Success"..... এ ছাড়া মনকে সান্তনা দেয়ার কোনো রাস্তা ছিল না...."All is Well" তখনও মার্কেটে আসেনি !

ললিত কলা :

আমি গান গাইলে বা গাওয়ার চেষ্টা করলে দেখেছি, গণতন্ত্রের কোনো দ্বিমত হয়নি......সোচ্চার প্রতিবাদের সঙ্গে জানিয়েছে আমার জন্য "গানটা ছিল শুধুই শোনার" | একজন একবার বীতশ্রদ্ধ হয়ে বলেছিলো, "Please গান গেয়ো না, আমি এমনি পয়সা দিয়ে দিচ্ছি !" আমি আর কোনোদিন বলতে পারলাম না...."যখন রব না আমি দিন হলে অবসান, আমারে ভুলিয়া যেও, মনে রেখো মোর গান" |

নৃত্যের প্রতি আমার কোনোদিনই কোনো আকর্ষণ ছিল না তাও Govinda, Hritik দের দেখে ইচ্ছে জাগলে শরীরের Young's Modulus সঙ্গে সঙ্গে Elastic Limit এর অ্যালার্ম বাজিয়ে দিয়েছে |

আঁকতে বসলে একটা সময় এর পর সেই গানটা মনে করতে হতো...."Tasveer banata hoon, phir bhi nahi banti"

খেলাধুলো :

সেই সময়তে ব্যায়াম, শরীরচর্চা, খেলাধুলো লোকে খেলার ছলে করে ফেলতো না বুঝেই, জিম আর ক্রিকেট-ফুটবল ট্রেনিং সেন্টারে যেতে হতো না খেলতে | সেই যুগে আমি 2-hinged বা 3-hinged Arch বুঝতাম না...কিন্তু  কেউ 'ধনুরাসন' বা 'চক্রাসন' করতে বললে আমার সারা শরীরের hinge মনে করিয়ে দিত "সকলই তোমারি ইচ্ছা", আমাদের এরকম কোনো ইচ্ছে নেই |

ফুটবল দলে লেফ্ট ব্যাক ছাড়া লুকোবার জায়গা ছিল না, তাও মাঝে মাঝেই বিপদ.....গোল দেয়ার সুযোগে ওভারল্যাপ এ না উঠলে বলতে হতো রক্ষণ করতে ব্যস্ত ছিলাম.....আর গোল খেলে বলতে হতো ওভারল্যাপ এ আক্রমণ এ উঠে গেছিলাম |

ক্রিকেটে যে কোনো দিন যেকোনো বোলার আমার সামনে শোয়াইব আখতার বা শেন ওয়ার্ন হয়ে উঠতো | বল হাতে ওভার পিছু ৩৬ দেয়া আমার কাছে দৈনন্দিন রেকর্ড | ফিল্ডিং নিয়ে আর কিছু বোঝাতে হবে না....self - explanatory |

অর্থনীতি, রাজনীতি, ধর্ম, সমাজতন্র :

বিশ্বায়ন এর যুগে আমি বিশ্ব নাগরিক | মার্কিন ডলার, ইউরো, ব্রিটিশ পাউন্ড এর প্রতি আমার বিশেষ সম্মান রয়েছে | Tolerance for all & preference for none..... এই নীতি অর্থনীতির সঙ্গে মানানসই....ধর্ম ক্ষেত্রে আমি এই মতে বিশ্বাসী.....চাঁদা ডোনেশন এর অত্যাচারের দিনে আমি নাস্তিক | নিজেকে ঘিরে যে সমাজ গড়ে উঠবে আমি সেই সমাজের জয়গান করি ..... "চাচা আপন প্রাণ বাঁচা" |

 

The Negative Part

কর্মজীবন :

১০৮-টা নাম না হলেও জীবনে, বিশেষ করে কর্ম জীবনে কিছু নাম হয়েছে | কেউ মনে করেন 'তার কাটা বা Eccentric', কেউ 'খুব ভালো'...কেউ আবার বলেন 'valve টা খারাপ হয়ে গেছে' | কারো চোখে আমি 'বিপ্লবী', কারো চোখে 'Negative' | কেউ ভাবেন 'সৎ' কেউ 'চরিত্র-বিহীন', কেউ বা 'আবেগে-প্রবন'......নানা মুনির নানা মত !

সামাজিক এবং ব্যাক্তিগত জীবন :

"আমি মনের মতন পাগল পেলাম না, আমি তাইতো পাগল হলেম না |"

আমার একলা চলো নীতিতে অনেকেরই আপত্তি আছে | ভিন্ন লোকের ভিন্ন মতামত.....বাড়ির লোক বাইরের লোক.....এক এক জনের একেক রকম......অনেকটা "পা কতরকম কথা বলে" র মতন | কেউ বলেন আমি প্রেমে বিধ্বস্ত বা দিকভ্রান্ত পথিক | কারো মতে আমি normal নয় চিকিৎসার প্রয়োজন | কেউ কেউ আড়ালে আবডালে আমাকে homosexual  ভাবেন, কেউ কেউ চরিত্রহীন...অনেকের হয়তো পৌরষত্ব নিয়ে ও প্রশ্ন আছে ......"যত মত, তত পথ" |

কিন্তু বিশ্বাস করুন প্রেম আমি করেছিলাম.....'আয়না' করুক না করুক আমি তাঁকে মনে প্রাণে আষ্টে-পৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরেছিলাম......."আমি নকল পাগল সকল দেখি, আসল পাগল দেখিনা |"

জীব এবং জিহ্বা এর প্রেম আমাকে সংবরণ বিদ্যা শেখার সুযোগ করে দেয়নি | বাঙালি হয়েও কফি চা এর চেয়ে প্রিয়......মাছে অরুচি....ধূমপান বা সূরা কোনোটাই চলে না.....বাংলা দৈনন্দিন পড়িনা......Ethnic বা Cultural dress হিসেবে আমি ধুতি বা পাজামা পাঞ্জাবি পড়ি না.....এক কথায় GOOD FOR NOTHING বাঙালি হিসেবে আমার সুখ্যাতি......অনেকে বাঙালি বিদ্বেষীও বলে থাকেন |

ভোট দিই না বলে লোকে irresponsible বলেন | সচিন-ওয়াসিম যুগে ওয়ার্ল্ড কাপ বাদে বাকি সময় ওয়াসিম কে সাপোর্ট করার জন্য আমি দেশদ্রোহী অনেকের চোখে | আজহারউদ্দিন এর কব্জির মোচড় সচিন-সৌরভ এর খেলার চেয়ে এগিয়ে রাখলে বা রফি কে কিশোরে এর চেয়ে ভালো বললে বহুলোকের অদৃশ্য  ত্রিনয়নের সামনে পড়তে হয়েছে |  ত্রিনয়নের সামনে পড়তে হয়েছে | 

এক কথায় আমি হলাম "একজন সাদামাটা ছোটোখাটো লোক" |


Conclusion

তবু আমি ছিলাম, আছি, হয়তো আরও কিছুদিন থাকবো আপনাদের মধ্যে বা আপনাদের আড়ালে, আপনাদের সুখে দুঃখের বন্ধু বা শত্রু হয়ে.....রাম হয়ে বা রাবণ হয়ে......ঠিক যেমন আরশোলা ছিল, আছে থাকবে মানুষ্য জীবনে, পেস্ট কন্ট্রোল করেও তাড়ানো যাবে না....."আবার আসিব ফিরে" mode এ | আমায় ছাড়া আপনারা অসম্পূর্ণ......."I am the Agent of Chaos"......গল্পের তাগিদে আমাকে রাখতে হবে |

........................................ইতি | বৈশিষ্টবিহীন বিরক্তি |


(Picture Courtesy : Google)

Sunday, September 20, 2020

Epics : History behind

The historical backdrop of the Epics were more often veiled by the Stories, Imagination & Poetic Independence, partly intentionally & partly due to the fact that they being the single source of literature the responsibility lies with the creator to remind people of the different moral obligations & ethics and how that can influence life. Hence, the characters had to be from real life, or real-like for a story  Larger than Life. Inclusion of Women, their plight in the society, their fortune & struggle would help connect with a larger audience & hence they became the Centre Point of the Story. This had a double benefit, one a larger connectivity, secondly a lesson for the society to uplift itself from the prevalent obnoxious customs. The torch bearers of Women Empowerment might have objection to this view, but that is the hard reality & most importantly this is my interpretation of events & facts against the background of Time. Like it or not....Women are part of the Story.....not the Story.....Truth is stranger than Fiction!

 

Troy....the geographical location gave the kingdom the benefit of charging commercial taxes to anyone trying to do some business while travelling through the land...this Tax was the major contributor to the wealth of the kingdom. Hence, if any one was trying to evade or avoid the taxation had to make sure Troy gets defeated.....and perhaps this was the intent which resulted in the Trojan War. But a story was needed to justify this. The culture of Slavery, Concubines, Polygamy was prevalent at that time, even the buying or selling of slaves etc.....but these were all about common people.....their story/history was never a point of interest. The story of abduction of any royal queen was never heard of & whether such a thing happened or not we don't know....but this story was more appealing. Thus came HELEN, the immortal queen/symbol of beauty.....and the story unfolded...the Magnum Opera of Kings, Queens & their Royal Story. The Magic of the Blinding Dazzle of the glitters created a spectacle behind which the Political Dream was carefully hidden.

 

Ramayan, the story of Ram, some say it was written before he was born, written by the power of future telling...if that is the case then it has no historical significance. I do have doubts on that, as I believe it shows a picture of the then society. The truth behind the debatable theory of Aryan invasion about Ramayan is unknown but......Ramayan is the history of North vs South. The history of the concept/belief of the superiority complex of North over South with respect to brain, beauty, colour, appearance etc...and hence the ones from South are referred to as Apes in the veil of Monkeys, Rakshas. Hence, to ascertain such superiority Ram needs to defeat a villain of highest stature.....the stature of power, wealth, shrewdness, political position & venom. Enters RAAVAN ! And if the hero defeats the villain with a background of simplicity & skillful leadership...who starts from zero to create a military army from the otherwise incompetent disorganized group of people....then we  have a real Hero. This would also mean inclusion & acceptance of South, but only as an Annexure to North. To get the humble background Ram's 'vanavas' was easy....but how does Ram & Raavan meet ? Enters Sita...Raavan abducts Sita & the story begins.

Literature has significant contribution in social arena, it shows trends, revokes trends, suggests improvement....shows value of compassion, empathy, wisdom etc. Ramayan, the Epic, makes an Orphan the Heroine of the Story....Raja Janak accepted Sita as her daughter & Dasarath as her daughter-in-law. Sita, the symbol of good in women, refused/protested to sit for the Fire-Test on public demand. The failure of Ram to deal with this, paid the penalty, getting defeated hands of his son Luv-Kush, raised singly by Sita......poetic justice was done. Those who still have problems with orphans & single-parent child....or when in the heat of moment you curse someone as 'bastard'.....think about it.

Ram did not choose forest life or did not choose a saint's life after Lanka Victory....instead he became the king of Ayodhya, extended the ties to Lanka, performed Aswamedha.....what is this.....in the eyes of history this is Spreading the Wings of Imperialism! The Real Story gets hidden behind the characters & emotions of the Epic.  Ironically/Coincidentally, till the British Empire was established in India, no other king  from North or external invaders could win the South as a whole.......hence the Story of Ramayan became all the more important to the people of North.

 

Mahabharat, among the Epics this will always have a special place, as the relevance of the events or stories cited over there to the current time cannot be ignored. Literature is flooded with the research work or fictions created for the characters of Mahabharat, there will be more in future too simply because of the connectivity people can make with real life characters.

History looks at Mahabharat as the documentation of fight for land...not only extension of Imperial Powers but also acquiring of land. The vision, idea & skill of conversion of barren lands like Indraprastha to fertile habitable kingdom is a lesson learnt from the Epic. The common practice of use of Dice Game or Betting/Fixing to win wealth or land, trading (not monetary) of Women in such deals and the roles Women played reflects the history of the time which Mahabharat acknowledges. To create the Epic for such important events would need Strong Story & Powerful characters was a great responsibility, challenge & necessity for the creator....depicting the social practices & requirement of the reforms...yet not revealing the history.

Talking of Mahabharat certain characters need to be discussed as only then the significance of the change of certain rules in the context of political necessity can be assessed....the changing mindset.

Krishna : The hero of Mahabharat, is a product of Foster Parenting. People who refer to him as Womanizer would definitely appreciate his skills as Statesman. The same man whom some might have had looked down upon as a person best to be avoided, would have definitely admitted the brilliance in his thought process in re-creating political boundaries.....the multi-faced talent. Contrary to Sita's abduction by Raavan, abduction of Subhadra or Rukmini by Arjun or Krishna was now acceptable.....the necessity to accept the changing requirements of time & politics. Gita, the speech of Krishna addressing Arjun, was a Motivational Speech for political necessity by an intellect of highest order.....but the act of informing Karna about his original parenthood before the war was a demeaning act on part of Krishna....but it was right from the context of the bigger picture of Imperialism.

Draupadi : The practice of polygamy was prevalent among men....women never had that luxury. On the contrary women were used as commodity in the political deals & prizes of betting. The requirement to give equal right & opportunity to women as well as abolishing their misuse the heroine of the story has to undergo the Acid Tests.......and thus she became Yagyaseni.

Mahabharat is the story of the requirement of the changes of the society to make it a better liveable place for all. The stories of inclusion & eradication of venom/stories of pre-conceived notions of superiority.

Pandavas were the adopted sons of Kuru-dynasty and hence their right to throne could not be established in spite of their superiority....the requirement to change this prevalent trend was a political necessity, hence the war. At the end of the war of Kurushetra no one was alive as a direct bloodline of Kuru or Pandav dynasty....even Porikshit was given re-birth (or replaced as may be interpreted) to re-ascertain the requirement of trend change. On one side Krishna was fighting for the changing trend, hence either he or his brother could not use the Dwarka throne from inheritance...so the need of the then democratic system was established....something similar in the lines of Roman Senate or Gram Panchayat.

The acceptance of process of adoption in Royal Blood Line & hence in Society was a major step that Mahabharat scripted through the characters of Pandav & Karna. The injustice inflicted on the low castes by the upper caste was portrayed in Ekalavya's story. The direction of acceptance & inclusion of transgender as part of society, family, royal line was illustrated through the characters of Sikhandi, Brihonolla. The acceptance of the unusual yet honest Love Story of Radha-Krishna was emotionally addressed. All these stories were the reflection of the Society....existing or desirable changes.

 

Bhisma : The only character in the Epic who stood for relentless sacrifices he made for others. His loyalty & honesty towards the people & ethics, their well being at no personal benefit or gain is an example of rarest order. The General who single handedly ensured that no major damage was done to anyone on either side of the Blood Line or any other Royal figure by virtue of his military skills in 10 days of an 18-day War is an example of class. The One whose skills were ahead of Times, whom Krishna wanted to kill himself, gave away the trick to his own demise for promises of better times....the surrender of arms at the sight of Sikhandi. Bhisma was the only man who could have prevented the War, but he got confused in the conflicting interest/thin line of ethics, loyalty & wisdom.....his indecision led to the partition of Hastinapur, yet he could not evade a war. His silence at many occasions proved to be the key reason behind the consequences of time. But why was he not advised by Krishna, Bhisma always had high regards for Krishna ? Or was it that the changing times required the wings of Hastinapur to be clipped & re-modelled according to the new needs of Imperialism. History repeats itself......the partition of India...1947....did we not see similarly confused minds & reluctance ?

 

Behind the stories of Epics are the real intents, the intents of Imperialism to create History. The characters in the front & the over dramatization of events used to hide the real intent devours the events of time, history of the common man in due course of time.

The old school, who are busy chaining the cultural heritage of our country in the historical manuscripts & Sanskrit slokas.....kindly do not brand the new events/changes of the society as 'degradation'....a lot of these might already be existing in those manuscripts beyond the limitations of your memories & wisdom.


[Disclaimer : The above ideas are solely based on personal interpretations of events, history, stories against the political, social & cultural aspect of the society in a particular time frame. This does not intend to teach, hurt or question anyone's feeling, belief & sentiment.]

Saturday, September 19, 2020

মহাকাব্যের আড়ালে

 

মহাকাব্যের গল্পে কিছু ইতিহাস থাকে কিছু কল্পনা থাকে.......কিছু সত্য, কিছু কবি বা লেখকের স্বাধীনতা....এবং এই সব মিলিয়েই সাহিত্য ইতিহাস হয়, ইতিহাস মহাকাব্য হয় | কিন্তু অনেক সময় কাব্যের গল্পের প্রাধ্যানে মূল ইতিহাস আড়ালে চলে যায়, বা হয়তো ইচ্ছে করেই নীতি, ন্যায় নিষ্ঠা, ইত্যাদি মানব চরিত্রের মৌলিক গুণ গুলোর তাৎপর্য্য বোঝাতে ইতিহাসকে ফ্রেম এর পেছনে পাঠিয়ে দেয়া হয়, backdrop বলে যাকে | সেই গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র অনেক থাকতো কিন্তু গল্পের গতি লক্ষ্য ঠিক রাখতে এক নারী চরিত্রের প্রাধান্য অপরিহার্য্য....সেই নারীর জীবন জন্ত্রণা, তার প্রতি সামাজিক অন্যায়, নর-নারীর প্রাকৃতিক আকর্ষণ, প্রেম ভালোবাসা, লোভ, ঈর্ষা, বিদ্বেষ, জিঘাংসা সব মিলিয়ে গল্প অনবদ্য রূপ নিত, লোকের কাছে গ্রহণ যোগ্য হয়ে উঠতো | হারিয়ে যেত ইতিহাসের শিক্ষা বা গতিপথ....বোরো হয়ে উঠতো গল্প......Larger than Life | Women Empowerment Flagship এর ধারক বাহকদের আপত্তি থাকতে পারে এই মতামতে......কিন্তু এটা একান্তই ব্যাক্তিগত এবং আমার চোখে বা মানসে এটা সত্য | সত্য পছন্দ নাহলেও তা সত্য, আর পছন্দসই সত্য উপহার দিলে সেটা গল্প | Women are part of the Story...not the Story......Truth is stranger than Fiction!

Troy এর ভৌগোলিক অবস্থানের সুবাধে যেকোনো দেশ বা রাজ্যকে বাণিজ্য করতে গেলে বাণিজ্যিক শুল্ক/কর দিতে হতো ট্রয়কে, সেটাই ছিল ট্রয় সাম্রাজ্যের সব চেয়ে বড় রাজকোষের উৎস | সেই কর দেয়াতে আপত্তি থাকলে ট্রয়কে জয় করা অপরিহার্য্য......এবং তাই হয়তো কোনো সময় কোনো যুদ্ধে ট্রয় রাজ্যের পতন হয় | তৎকালীন সমাজে পাশ্চাত্য সভ্যতাতে দাসত্ব, হারেম, পলিগ্যামি ইত্যাদি পাওয়া যায়, কিন্তু রাজ্ ঘরানার মহিলাকে ছল পূর্বক নিয়ে আসার গল্প হয়তো শোনা যেত না | হেলেন তাই অমর  হলেন....এরকম কোনো ঘটনা ঘটেছে কি ঘটেনি সেটার চেয়েও বড়......গল্পের নায়ক নায়িকা হলেন রাজা আর রানী.....হারেম বা দাসত্ব প্রথার কোনো সাধারণ লোক নয় | ম্যাগনাম অপেরা তৈরী করা যায় না রাজা রানী ছাড়া........রাজকাহিনী সামনে রেখে সাম্রাজ্যবাদের ইতিহাসের মূল কারণকে আড়াল করে রাখা যায় | ম্যাজিক !!!

রামায়ণ অনেকে বলেন রামের জন্মের আগে রচনা, সেটা যদি আলংকারিক মতামত হয়, বিধাতার রচনা হিসেবে, তাহলে আলাদা কথা, কিন্তু যদি আক্ষরিক অর্থে সেটা নেয়া হয়, গোটা রামায়নটাই গল্প | আমার মনে হয় ওটা তৎকালীন ইতিহাসের প্রতীক | হয়তো আর্য অনার্য্যের সাম্রাজ্যবাদের ইতিহাস, যদিও সাম্প্রতিক কালে এই নিয়ে অনেক মতো বিরোধ আছে | উত্তর এর দক্ষিণ জয়ের নীতি বা গল্পই রামায়ণ, উত্তর দক্ষিণের লড়াইয়ের ইতিহাস ..... যেখানে রূপে রঙে উন্নত উত্তরের কাছে দক্ষিণের মানুষ বানর বা রাক্ষস.....আর উত্তরের সমস্ত রকম superiority complex কে জয়ী করতে একটি শক্তিশালী দক্ষ শত্রুর দরকার....তাই রাবণের আবির্ভাব | কিন্তু গল্পের গরিমা তখন বাড়বে যখন সর্ব শক্তিমান রাবণ কোনো "ভিখারী রাঘব" এর হাতে পরাজিত হবে, যে দক্ষিণের গৌরবকে স্বীকৃতি দেবে কিন্তু আলাদা হিসেবে নয়, উত্তরের annexure হিসেবে | কিন্তু রাম রাবণের যুদ্ধের কারণ কি হবে.....ন্যায় নীতির বিচারে ? তাই সীতাকে লাগবে, রাবণ অপহরণ করবে সীতাকে ... যুদ্ধ হবে....সাম্রাজ্যবাদের প্রতিপত্তি বাড়বে, দক্ষিণের স্বীকৃতি আসবে ন্যায় নীতির আড়ালে |

সামাজিক প্রেক্ষাপটে কিছু অবদান আছে সাহিত্যের....তাই মহাকাব্যের মধ্যে দিয়ে এক অনাথ গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র হলেন, রাজা জনক যাঁকে কন্যা হিসেবে স্বীকার করলেন, দশরথ যাঁকে তার পুত্রবধূ হিসেবে গ্রহণ করলেন | সেই সীতা যে দ্বিতীয়বার অগ্নিপরীক্ষা দিতে রাজি হননি, এবং রাজা হিসেবে রামের সেই ব্যর্থতার শাস্তি হিসেবে poetic justice করা হলো পুত্রদ্বয় লব-কুশ এর হাতে রামের পরাজয় | যারা এখনো অনাথ বা single parent child দের অন্য চোখে দেখেন....বা রাগের মাথায় কেউ যখন কাউকে 'bastard' বলে থাকেন....একটু ভাবনা চিন্তা করে নেবেন |

লঙ্কা জয়ের পর রাম কিন্তু বনবাস বা ত্যাগ বেছে নিলেন না, অযোধ্যা অধিপতি হলেন.....ইতিহাসের চোখে একেই তো সাম্রাজ্যবাদ বলে ! গল্পের আবেগের মধ্যে সুন্দর ভাবে ঢাকা পরে যায় সাম্রাজ্যবাদের ইচ্ছে আর কারণ...the Real Story behind the story |  Ironically/Coincidentally লক্ষ্য করেছেন কিনা জানিনা, ব্রিটিশ আসার আগে অব্দি উত্তরের কোনো রাজা বা বহিরাগত কোনো শক্তি কেউই দক্ষিণ জয় করতে পারেনি.....রামায়ণ তাই খুব গুরুত্বপূর্ণ গল্প হয়ে থাকলো উত্তরের কাছে |

মহাভারত, মহাকাব্যের মধ্যে আজ ও যার স্থান আলাদা, তার কারণ তার প্রাসঙ্গিকতা আজকের যুগেও অনস্বীকার্য্য | মহাভারতের বহু চরিত্র আছে যাদের নিয়ে বহু উপন্যাস রচনা হয়েছে, বা পরেও হয়তো হবে.....তার কারণ তাদের জীবনের প্রতিচ্ছবি আজকের সমাজেও খুঁজে পাওয়া যায় |

ঐতিহাসিকের চোখে মহাভারত ভূমি দখলের লড়াই......শুধু সাম্রাজ্যবাদ নয়, ভূমি অধিগ্রহনের গুরুত্ব, ইন্দ্রপ্রস্থর মতন অনুর্বরজমিকে শক্তিশালী করে নেওয়ার ক্ষমতা আর দূরদর্শিতার ইতিহাস....দ্যুতক্রীড়া বা Betting , Fixing এর মধ্যে দিয়ে অর্থ উপার্জন, জমি অধিগ্রহনের, সেই প্রচেষ্টাতে মহিলাদের ভূমিকা....এই সবের ইতিহাস মহাভারত....এবং তাই আজ তার কেন এতো প্রাসংগিকতা সেটা বোঝা যায় | এরকম একটা গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাসের, মহাকাব্যের চরিত্র আর গল্প নির্মাণ করা সামাজিক প্রয়োজনীয়তাগুলো মাথায় রেখে...বিরাট দায়িত্ব এবং তাই সেই নির্মাণ এর পেছনে আড়ালে চলে যায় আসল ইতিহাস....সময় আর মানুষের ইতিহাস |

মহাভারত নিয়ে কথা বলতে গেলে কিছু চরিত্রের কথা বলতে হয়..কারণ তবেই বোঝা যায় সময়ের সঙ্গে সঙ্গে, সাম্রাজ্যবাদের কারণে কিছু নিয়ম নীতি কেমন পাল্টে যায়...বা চিন্তাধারার পরিবর্তন হয় |

কৃষ্ণ : মহাভারতের নায়ক, Foster Parenting এর এক উদাহরণ | Womanizer হিসেবে যাকে উদাহরণ দেখানো হয় .... স্টেটসম্যান হিসেবে তার অসামান্য অবদান | অর্থাৎ একই মানুষ যাকে হয়তো দুশ্চরিত্র হিসেবে অনেকে দেখতো বা বাতিল করত, তার রাজনৈতিক চিন্তাধারাকে দেখে তাকে নায়ক বানালো...multi-faced talent | সীতার অপহরণে রাবণ খলনায়ক, কিন্তু সুভদ্রার অপহরণে বা রুক্কিনির অপরহরনে অর্জুন বা কৃষ্ণ কিন্তু নায়ক......অর্থাৎ সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে চরিত্র অঙ্কনের পরিবর্তন | গীতাতে অর্জুনের উদেশ্যে কৃষ্ণের যা বক্তব্য তাকে Motivational Speech for political necessity by an intellect of highest order বলতে কোনো দ্বিধা নেই....কিন্তু সেই একই ব্যাক্তি যখন কর্ণকে যুধ্যের আগে প্রকৃত পরিচয় জানিয়ে দেন সেটা অনৈতিক যুদ্ধ নীতির পরিচয়......কিন্তু সাম্রাজ্যবাদের চোখে সেটা ঠিক |

দ্রৌপদী : পলিগ্যামি প্রথা পুরুষ সমাজে স্বীকৃত ছিল, স্বয়ং কৃষ্ণ সেই প্রথার বাইরে ছিলেন না.....কিন্তু মহিলা মহলে এ প্রথা চালু ছিল না.....তাই গল্পের নায়িকাকে সেই অ্যাসিড টেস্ট এ নামতে হতো...তাই তিনি অগ্নিকন্যা....এই ঘটনার মধ্যে দিয়ে এবং কৃষ্ণের certification এর মাধ্যমে মহিলাদের সমান অধিকারে বসানো গেলো |

সমাজের কিছু চলে আসা প্রথার গুলোর পরিবর্তনের গল্প মহাভারত.........দ্যূতক্রীড়াতে মহিলাদের ব্যবহারের কুরুচিপূর্ণ প্রথা পরিবর্তনের, সমাজে মহিলাদের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠার গল্প |

পাণ্ডবরা ছিলেন কুরুবংশের দত্তক পুত্র, কিন্তু তারা সিংহাসনের যোগ্য উত্তরসূরি.....তাই বংশপরম্পরায় সিংহাসন অধিগ্রহনের পরিবর্তনের গল্প মহাভারত | কুরুক্ষেত্রের যুধ্যের শেষে দুপক্ষের কুরুবংশের কোনো উত্তরসূরি বেঁচে থাকে না.....পরীক্ষিতের পুনর্জন্ম করানো হয়.....বংশপরম্পরার অবসান ঘটাতে | একদিকে যেখানে পাণ্ডবদের জন্য কৃষ্ণ লড়ছেন, সেখানে তিনি নিজে বা বলরাম দ্বারকানাথ হতে পারেন না......দ্বারোকার সিংহাসনে বলরাম বা কৃষ্ণ বসেননি....তৎকালীন প্রজাতন্ত্র বসিয়েছিলেন যা অনেকটা পঞ্চায়েত বা রোমান সেনেট্ এর মতন....তাই প্রজাতন্ত্রের গল্প মহাভারত |

পাণ্ডব, কর্ণের মতন অনাথদের সামাজিক স্বীকৃতির গল্প....একলব্যের মধ্যে দিয়ে সমাজের নিচু শ্রেণীর ওপর অত্যাচারের গল্প.....শিখন্ডি, বৃহন্নলার মধ্যে দিয়ে সমাজের মূল ধারাতে transgender দের অন্তর্ভুক্তির গল্প...রাধা কৃষ্ণের প্রেমের মধ্যে রীতিবিরুদ্ধ কিন্তু নির্ভেজাল প্রেমের গল্প......এ সবই সামাজিক পরিবর্তনের প্রতিচ্ছবি |

ভীষ্ম : মহাভারতের একমাত্র চরিত্র...১৮ দিনের যুদ্ধে যিনি একা ১০ দিন নিশ্চিত করেছেন যাতে দুপক্ষের কোনো রথী মহারথীর প্রানঘাট না হয়.....সেই অপ্রতিরোধ্য যোদ্ধা যার কাছে সময় হার স্বীকার করেছিল, যাকে বধ করতে কৃষ্ণ উদ্বত হয়েছিলেন....যাকে অস্ত্র ত্যাগ করাতে, ভূমিষ্ঠ করতে তারই পরামর্শে শিখন্ডিকে সামনে আন্তে হয়েছিল.....সেই ভীষ্ম যিনি চাইলে কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ হয়না....অথচ তিনি প্রতিজ্ঞা আর ধর্মের ভ্রান্তিতে ঠিক পথ হারিয়ে ফেললেন....হস্তিনাপুরের বিভাজন করালেন কিন্তু যুদ্ধ আটকাতে পারলেন না | অথচ কৃষ্ণ তাঁকে সেই সময় পরামর্শ দিলেন না...কেন.....সাম্রাজ্যবাদের নিয়মে কি হস্তিনাপুরের প্রতিপত্তির শেষ দরকার ছিল ? History repeats itself.... ১৯৪৭ এর দেশভাগের সময় কি আমরা এরকম কিছু confused minds & reluctance দেখি না ?

মহাকাব্যের এতো গল্পের আড়ালে তাই গোপন থাকে আসল উদ্দেশ্য, সাম্রাজ্যবাদ স্থাপনের ইতিহাস.... সামনে থাকে কিছু অতিনাটকীয় মুহূর্ত আর চরিত্র...হারিয়ে যায় আসল মানুষের ইতিহাস !

যারা পুরানপন্থি এবং দেশের কৃষ্টি আর সভ্যতাকে পুরোনো গ্রন্থে, সংস্কৃত মন্ত্রে আটকে রেখেছেন তারা নতুন কোনো জিনিস সমাজে দেখলে অপভ্রংশের দোহাই দেবেন না....অনেক কিছুই আপনাদের ওই গ্রন্থের স্বীকৃতিতে আছে, আপনাদের স্মৃতি আর জ্ঞানের বাইরে |

 

Disclaimer : The above ideas are solely based on personal interpretations of events, history, stories against the political, social & cultural aspect of the society in a particular time frame.  This does not intend to teach, hurt or question anyone's feeling, belief & sentiment.

 

 


Monday, September 07, 2020

একদিন পাখি.....

দেরী হয়ে গেছে আজকে জয়ন্তর, সকালের অ্যালার্ম থামিয়ে আবার ঘুমিয়ে পড়েছিল। কোনোরকমে তৈরী হয়ে দরজা লাগিয়ে লিফ্টের button প্রেস করলো। বেসমেন্ট-এ এসে গাড়ি চালালো, দেখলো অন্যদিনের তুলনাতে আজকে গাড়ি বেশি রয়েছে। মেইন গেটের দিকে এগোচ্ছে, দেখলো society র মাঠে আজকে ভীড় বেশি, অনেকেই খেলাধুলো করছে, একটু অবাক হলো...আজকে কি তার মতন কারুরই কি দৈনন্দিন জীবনে routine follow করতে ইচ্ছে করছে না ? একটু হেসে গেটের দিকে এগিয়ে চললো। গেট থেকে সবে বেরিয়েছে এমন সময় মোবাইল এ এলার্ট বেজে উঠলো, Sunday Morning News ।  চমকে উঠলো জয়ন্ত, ভুলে গেছিলো আজকে রবিবার, শনিবার সে অনেকদিন পর বাড়িতে ছিল। কিছুক্ষন দাঁড়িয়ে থেকে বাড়ি ফিরে আসে জয়ন্ত। 

সোফার ওপর হতাশ হয়ে বসে পড়ে। অদ্ভুত একটা তিক্ততাতে ভরে যায় তার মন। গত দু-তিন বছর ধরে project- টাতে এতো বেশি জড়িয়ে পড়েছে যে জীবনের আসল সত্য গুলোকে সে ভুলে যাচ্ছে। সে ভুলে গেছে শনিবার তার এমনি ছুটি, অফিসের কাজের জন্য সে weekend  ছোট করে ফেলেছিলো। বিরক্ত লাগে নিজের ওপর, চুপ করে বসে থাকে....কখনো সিলিং, কখনো ব্যালকনির দিকে তাকিয়ে। কিছুই দেখছে না, বুঝছে না, শুধু তাকিয়ে আছে, ভেবে চলেছে পুরোনো কথা। নিজেকে যেন হারিয়ে ফেলেছে।

ঢাকুরিয়ার সেই বাড়ি, ছোটবেলার জীবন, Ballygunje এর স্কুল , I.I.T.-র  কলেজ লাইফ , I.I.M.-র career consciousness.....সব মনে পড়ে গেলো। স্কুল থেকে বেরোনোর পর থেকেই জয়ন্ত বাইরে বাইরে কাটিয়েছে, তাই বাঙালী লাইফস্টাইল এর বাইরে থাকতে সে অভ্যস্ত হয়ে  গেছিলো শুরুতেই। হয়তো তাই বম্বে এসে settle করে, মাঝে কিছুকাল বিদেশে থাকলেও মুম্বাই তার কর্মভূমি। তাই মুম্বাই এর জীবন, এখানকার লোকজন তার বন্ধু হলো। কেউ কেউ ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠলো, কলকাতার পুরোনো রুট থেকে বিচ্ছিন্ন হলো কিছুটা, কিন্তু এই জীবন সে উপভোগ করে....প্রায় ২৫ বছর কেটে গেছে এই শহরে..অনেক আনন্দ-দুঃখের স্মৃতি এখানে। কত আলাপ বিচ্ছেদ।


কতক্ষণ কেটে গেছেএইভাবে খেয়াল নেই, বৃষ্টির আওয়াজে ঘোর কাটে জয়ন্তর.....মাথা ধরে গেছে.....ঘড়িতে দেখলো দুটো বেজে গেছে....খিদে পাচ্ছে....উঠে পড়লো....স্নান সেরে নিল। ফ্রিজ এ কিছু বানানো নেই....ইচ্ছে করছে না বানাতে কিছু, দুটো Maggi র প্যাকেট নিয়ে বসিয়ে দিল, সঙ্গী black coffee। খেতে বসে মোবাইল দেখতে শুরু করলো, এই বাজে অভ্যেসটা অনেকদিন হয়েছে, রিমঝিম-এর সঙ্গে ঝগড়া হতো খুব খেতে বসে মোবাইল দেখা নিয়ে। Social মিডিয়ার ইনবক্সগুলো ভরে গেছে মেসেজএ, কয়েকটা দেখে কাটিয়ে দিল, খাওয়া শেষ করে বেডরুম এ চলে গেলো....টিভি চালিয়ে খাটে বসলো। ইন্ডিয়া র খেলা আছে ওয়ান-ডে সাউথ আফ্রিকার সঙ্গে....আগের মতন ভালো লাগে না দেখতে....batsman friendly করে charm নষ্ট করে দিয়েছে। তাও ঋজুর সঙ্গে দেখতো, ওর খেলা ধুলোতে খুব ইন্টারেস্ট....ফুটবলটা বেশ ভালো খেলে।

বৃষ্টি বেশ জোরে পড়ছে, আজকে হয়তো আর থামবে না, জল জমে যাবে শহরে....এই শহরের এটা একটা বড়ো অসুবিধে। দেয়ালের পর্দা সরিয়ে দিল। ঘরের wooden flooring ছিল রিমঝিম এর শখ আর glass wall টা জয়ন্তর। কত স্মৃতি এই ঘরে....ঋজু এই ঘরে বড় হয়েছে। কাঁচের মধ্যে দিয়ে বৃষ্টি দেখতে দারুন লাগে....সেই কারণেই এটা করা..আর সন্ধ্যে বেলা sky line টা। টিভি তা বন্ধ করে দিলো জয়ন্ত, আর এক কাপ কফি নিয়ে খাট ছেড়ে  rocker টাতে গিয়ে বসলো....বাইরের বৃষ্টি দেখছে....আর ভাবছে....

বৃষ্টি পড়লেই রিমঝিম এর কথা মনে পড়ে, এরকম এক দিনে একটা seminar এ আলাপ হয়েছিল, সেই আলাপ সম্পর্কে আর সম্পর্ক সংসারে পরিণত হয়। পাঁচ বছর হয়ে গেছে ওদের mutually agreed separation....ঋজুর কথা ভেবে এটাই ভালো ছিল। দিল্লীর ফ্ল্যাটে ওরা দুজন চলে গেছে, রিমিঝিম আবার career শুরু করতে পেরেছে....ঋজু ও নতুন বন্ধু পেয়েছে....ছুটিতে আসে ঋজু, রিমঝিম ও আসে..জয়ন্ত ও যায়....হয়তো স্বাভাবিক নয় এটা কিন্তু সম্পর্কটা একটা decent জায়গাতে আছে....সকলে সকলের স্বাধীনতা, শখ আল্হাদ, জীবন নিয়ে বেঁচে আছে.....ঝগড়াঝাটি, মনোমালিন্যর চেয়ে ভালো....ঋজুর জন্য ভালো, মেন্টাল ফ্রেমিংটা হয়তো better হবে, বুঝতে পারবে সব জিনিস ঠিক হয়না, ঠিক করা যায়না, কিন্তু তাও সুস্থ থাকত পারে। এই পরিণতির বেশির ভাগ দোষ জয়ন্তর, অফিস, career নিয়ে সে আটকে গেছিলো......অফিস পলিটিক্স এ বিরক্ত হয়ে গেছিলো এবং তার effect ব্যক্তিগত জীবনে পড়ছিলো। রিমঝিম আর জয়ন্তর এই সম্পর্কের শুরুটা ছিল ফোটোগ্রাফি, specially human ফোটোগ্রাফি.....প্রতি শনি-রবি ওরা বেরিয়ে পড়ত....জয়ন্ত সেই সময় দেয়াটা ভুলে গেলো!

বৃষ্টিটা কমে এসেছে....থামলে হাঁটতে বেরোবে জয়ন্ত। অনেকদিন গান শোনা হয়না ঠিক করে..হোম থিয়েটারটা চালিয়ে দিলো। সন্ধেবেলা মুম্বাইয়ের skyline দেখতে দেখতে গান শুনছে......ভাবছে কি করবে.....। .অর্থাভাব নেই....hobby গুলো dry হয়ে যাচ্ছে....আবার শুরু করবে।

হঠাৎ সেই গানটা বেজে উঠলো....

             "Main zindagi ka saath nibhaata chala gaya

               Har fikr ko dhuyen mein uraata chala gaya

               Barbaadiyon ka soz manana fizool tha

               Barbaadiyon ka jashn manaata chala gaya

              Jo mil gaya usi ko muqaddar samajh liya

              Jo kho gaya main usko bhulata chala gaya

              Gham aur khushi mein fark na mehsoos ho jahaan

              Main dil ko us maqaam pe lata chala gaya"

                                                                                 ............সব পরিষ্কার হয়ে গেলো জয়ন্তর সামনে।

"কাল সকালে গিয়ে resignation-টা দিয়ে দেব".......ফাইনাল করে ফেললো জয়ন্ত। নতুন করে কিছু শুরু করবে। এখন কিছুদিন বিশ্রাম......দিল্লী যাবে....রিমিঝিম -রিজুর সঙ্গে weekend ফোটোগ্রাফিতে বেরোবে..Old দিল্লী......গালিবের গলি, Kareem's এর কাবাব, parathewali গলি....তারপর কিছুদিন ঘুরে বেড়াবে....হয়তো আফ্রিকাতে ওয়াইল্ড লাইফ ফোটোগ্রাফি।

বৃষ্টি থেমে গেছে, গান বন্ধ করে বেরিয়ে পরে জয়ন্ত....রাতে আজকে Swiggy....Time for Celebration!!!


Sunday, September 06, 2020

একটি কাল্পনিক কথোপকথন

স্বর্গের নন্দন কাননে প্রাতঃভ্রমনে বেরিয়েছেন কবিগুরু। আজকে প্রকৃতি যেন আনন্দরূপ। মর্ত্যলোকের মত এখানেও দিনে দিনে ভিড় বেড়ে চলেছে। কবি একটা নিভৃত কোনের দিকে এগিয়ে চলেন, ওদিকটাতে লোকের সমাগম কম। ওদিকে যেতে যেতে প্রাকৃতিক শোভা অনুভব করছেন কবি, একটি কণ্ঠ শুনতে পেলেন, ভোরের রেওয়াজে বসেছে কেউ, খালি গলাতে, আহা কি অদ্ভুত কণ্ঠস্বর। কিছু দূর এগোতেই দেখতে পেলেন, এ যে মহম্মদ রফি। কবিগুরু কিছু বললেন না গায়কের পেছনে গিয়ে দাঁড়িয়ে গান শুনতে লাগলেন, ভৈরব রাগ, একটু দূরে দাঁড়ালেন। রফি একমনে গেয়ে চলেছেন, হঠাৎ কবির কাশির দমকে থেমে গেলেন। চেয়ে দেখলেন রবীন্দ্রনাথ দাঁড়িয়ে আছেন।

লজ্জিত হয়ে উঠে দাঁড়ান গায়ক, হাত জোড় করে বলেন "ক্ষমা করবেন গুরুদেব, "আপনি  এসেছেন টের পাইনি, এ তো সাক্ষাৎ ভগবান ভক্তের কাছে, আপনি বসুন।"

"আরে করো কি রফি সাহেব, আমি তো তোমার সাধনায় বাধ সাধলাম, কি অপূর্ব গাইছিলে, আমি তোমাকে তুমি বলেই বলছি, আপনি বললে তোমাকে পর করে দেয়া হয়, তোমার সঙ্গে আলাপ যখন হয়েছে, আর মুক্তি নেই তোমার। "

খিলখিলিয়ে হেসে ওঠেন রফি, বিশ্বকবিকে প্রণাম করেন, "কতদিনের ইচ্ছে আপনার সঙ্গে দেখা করব কিন্তু সুযোগ হচ্ছিলো না। আপনার কাশি হয়েছে দেখছি, তাবিয়াত ঠিক আছে তো ?"

"সাহেব,শরীর ঠিক আছে, বৃদ্ধবয়েসে এসেছি, তাই এগুলো একটু আধটু লেগে থাকে, তবে ভালো কি জানতো বিনা ওষুধে সেরে যায়, ডাক্তার বদ্যিতে আমার বড় allergy।"

এ কথা সে কথা চলতে থাকে দুজনের, গায়কের কাছে এ যেন এক মহামিলন, কবির কাছে এক অবিস্মরণীয় মুহূর্ত। 

সহসা কবি বলে ওঠেন "তোমাকে গান গাইতে দেখে ভালো লাগলো, আমার তো আজকাল লেখা হয়না। বয়েসও হয়েছে, সময়ও অনেক পাল্টে গেছে, চতুর্দিকে এতো গতি হয়ে গেছে, লোকের জীবনে এতো অনিশ্চয়তা এসেছে কারুর আর ধৈর্য্য ধরে কিছু পড়ার মন নেই, কি করবে বাঁচবে, না সাহিত্য চর্চা করবে।" 

"ঠিকই বলেছেন গুরুদেব, লোকের  জীবন থেকে স্বস্তি চলে গেছে, গানের কথা-সুর সব তাই পাল্টে গেছে। গান বাজনা সাহিত্য সবই তো সময় এর প্রতিবিম্ব।"  

"খাসা বললে রফি সাহেব।" 

কিছুক্ষণের  নীরবতা......রফি বললেন "গুরুদেব আমার জীবনের একটা  দুঃখ আছে, এতো গান গেয়েছি, বাংলাতেও  গেয়েছি, নজরুলগীতি ও গেয়েছি, কিন্তু কেউ কখনো আপনার গান গাইতেই বলেনি আর আমিও সাহস করে কাউকে মনে ইচ্ছের কথা বলতে পারিনি।"

অট্টহাস্যে ভেঙে পড়েন কবি, "ভালো করেছো যে বলোনি কাউকে, তোমাকে ওরা গাইতে দিত না ঠিক করে, নিয়ম দেখিয়ে তোমার দম আটকে দিতো, হাঁস ফাসঁ করে পালিয়ে  বাঁচতে। স্কুল খুলেছিলাম খোলা মনে গড়ে ওঠার জন্য, উল্টে ওরা আমাকে নিয়মে বেঁধে ফেললো। তোমাকে বোঝে ওদের কি সাধ্যি। তুমি ভেবোনাহে এখন থেকে তোমার মুক্তি নেই, আমার গান আমি তোমার গলাতেই শুনবো। লোকে ঈশ্বর এর খোঁজে বেরোয় তুমি তো গলাতে ঈশ্বরকে বসিয়ে রেখেছো, তুমি তো Sufism এর প্রতীক।"

"তওবা তওবা, আপনি আমায় লজ্জা দেবেন না। আপনার লেখাতে তো সর্বত্র তাঁর অস্তিত্ব। "

কবি এবার লজ্জিত হন....আবার কিছুক্ষনের নীরবতা....রবীন্দ্রনাথ বলে ওঠেন, "বেলা বাড়ছে এবার যাবো, যাওয়ার আগে আমাকে একটা গান শোনাও" 

চমকে ওঠেন রফি, এ আবদার যেন তার জীবন ধন্য করে দিল কিন্তু কি গাইবেন বুঝে উঠে পারছেন না।

"অতো চিন্তা করোনা, তোমার গান গাও, সেই গান... ও দুনিয়া কে রাখবালে....আহা কি সুন্দর গেয়েছো ...কিংবা আমার ওরকম কোনো একটা ..." গায়কের বিহ্বলতা দেখে একটু কৌতুক করে কবি বলেন "এখন থেকে তো আমার গানে তোমার দিন কাটবে..মুক্তি নেই।"

স্থির হয়ে চোখ বুজে কিছুক্ষন ভাবেন রফি ... শুরু করেন ... "মহারাজ এ কি সাজে  ......"

গান শুনতে শুনতে আবেগে আপ্লুত হয়ে রুদ্ধ হয়ে যাই কবির কণ্ঠস্বর, অবিরত অশ্রু ধারায় ভিজে গেলো তার পোশাক....স্রষ্টা আর গায়ক দুজনের চোখ বন্ধ....জাগতিক দিকে আর মন নেই।

গান শেষ..আবার নীরবতা, গায়ক ভাবছেন তার জীবনের যেন ষোলকলা আজ পূর্ণ হলো। কবি ভাবছেন এ কি শুনলেন....এতো লোকের এতো রকম গায়কীতে শুনেছেন এই গান....কিন্তু এ তো সবার উর্দ্ধে, সাক্ষাত লালন এর গান....এই গানের অন্য মানে করে দিলেন গায়ক....ফকির এর প্রত্যাশা বিহীন ভালোবাসার কাছে ঈশ্বর ছোট হয়ে গেলো....সৃষ্টির কাছে স্রষ্টা আজ সত্যি ছোটো....এই যেন চেয়েছিলেন তিনি গানে বলতে....আপ্লুত হয়ে আর কিছু বললেন না রবীন্দ্রনাথ...জড়িয়ে ধরলেন রফিকে ....বললেন "অসংখ্য ধন্যবাদ....আজ চলি আবার আপনার সঙ্গে দেখা করবো..আজ কিছু লিখবো....চলি।"

রফি বুঝলেননা কি বলতে চাইছিলেন গুরুদেব....কিছুক্ষণ বসে থাকলেন....তরপর গান গাইতে গাইতে নিজের গন্তব্যের দিকে এগোলেন।


Disclaimer : The writing is a product of imagination of the author & intent is purely literary. Neither there is an attempt to establish any idea nor criticise any section or community of the society


Friday, September 04, 2020

দুর্গা পরিবার

হেঁশেলে আনমনে বসে দুর্গা, চোখে জল, হাতে হাত পাখা, পরনে লাল পেড়ে শাড়ি | সামনে উনুনে ভাত চড়ানো, মন নেই সেই দিকে, ভাতের মাড় গড়িয়ে উনুনে পড়ছে | এমন সময় ছুটতে ছুটতে গনেশ এসে ঢুকলো |

গনেশ : মা ভাতের মাড় পড়ে যাচ্ছে, একি তুমি কাঁদছো কেন ? দাদা, দিদি দেখো, মা কাঁদছে |

সম্বিৎ ফিরে পায় দুর্গা, তাড়াতাড়ি চোখের জল মুছে ভাতের হাঁড়িটা ঠিক করে | গনেশের ডাক শুনে এক এক করে লক্ষী, সরস্বতী, কার্তিক সবাই ছুটে আসে | দুর্গা গনেশকে কোলে তুলে নেয়, সকলের ছোট, সকলের আদরের |

লক্ষী : কাঁদছো কেন মা, কি হলো, কেউ কিছু বললো, নাকি বাবার সঙ্গে ঝগড়া হলো ?

সরস্বতী : এখন ঝগড়াঝাটি করোনা, আর কয়েকদিন পর মামারবাড়ি যাওয়া, প্রতিবার এই মনোমালিন্য আর ভালো লাগেনা |

দুর্গা : না রে, কারুর সঙ্গে এবার কিছুই হয়নি, সেই পরিবেশও নেই, সকলেই খুব চিন্তিত, বস কথা বলি তোদের  সঙ্গে, জরুরি কথা | দেখ তোরা বড় হয়েছিস, অনেক কিছু বুঝতে শিখেছিস, এবার একটু দায়িত্ব নিতে হবে মামারবাড়ি গিয়ে, আমোদ প্রমোদে শুধু দিন কাটানো যাবে না | মামারবাড়ির অবস্থা এবার ভালো নয়, একটা ব্যাধি এসেছে, তাতে দুনিয়া তটস্থ, কাজকর্ম সব মাথায় উঠেছে, চতুর্দিকে আর্থিক অনটন, চাকরিবাকরি নেই লোকের, এরপর হয়তো অনাহার আসবে |

কার্তিক : তাই বলে ওখানে গিয়ে কাজ ? সাজবো গুজবো, মেয়ে দেখবো, ঘুরবো ফিরবো |

সরস্বতী : হাঁ ওদের জ্বালা ওরা বুঝুক, আমরা মাথা ঘামাবো কেন ?

দুর্গা ক্রোধের সঙ্গে কার্তিককে ধমক দেয়, "তোর এই handsome mode থেকে বেরিয়ে কাজে মন দে, বয়েস হয়েছে, বিয়ে না করলে না করবি, ধিঙ্গিপনা করে বেড়াবার  বয়েস আর নেই, দায়িত্ব পালন করতে শেখ |"

তারপর সরস্বতীকে "লেখা পড়া শিখলি, women empowerment এর নামে বিয়ে করলি না, সমাজে example set  করবি বলে, এই তার নমুনা !" 

সকলকে উদেশ্য করে, " দেখ এইবার গিয়ে যা বলছি তা না করলে পরের বছর থেকে আমি আর যাবো না | মনে রাখিস মামারবাড়ির লোক না থাকলে আমরাও নেই এই দুনিয়াতে, ওরা আছে বলে আমরা আছি |"

মায়ের অভিমান দেখে সকলে বুঝলো ভুল হয়েছে, ব্যাপারটা বেশ serious, না শুনে উপায় নেই, গোল হয়ে মায়ের আদেশ শুনতে বসলো |

দুর্গা : গনেশ, তুই তো কয়েকদিন আগে গেলি,, কি দেখলি কি বুঝলি ?

গনেশ : আমি কিছু জিজ্ঞেস করিনি, ঘুরে ঘুরে দেখলাম, সব কেমন ঝিমিয়ে, লোকের মনে আনন্দ নেই |

দুর্গা : লক্ষী, নাড়ুগোপাল কি বলছে, ওতো গেছিলো একদিনের জন্য |

লক্ষী : বেশি কিছু বলেনি, বললো ভালো না আবহাওয়া |

দুর্গা : ঠিক আছে শোন্, আমি তোদের বলছি, যতটা জানি, তোদের কি করতে হবে সব..মাঝে কেউ কথা বলবি না, মন দিয়ে শুনবি আর গিয়ে কি করে কি করবি তার foolproof plan করবি যাওয়ার আগে |


দুর্গা শুরু করে....

"Covid-19 নামে একটা মহামারী ভাইরাস এসেছে তাতে দুনিয়া ওলোট পালট হয়ে গেছে | বহু লোকের মৃত্যু হয়েছে, আরো হবে, অসংখ্য লোকে অসুস্থ হচ্ছে রোজ, কিন্তু চিকিৎসা বেরোচ্ছে না | লোকে নানারকম precaution নিচ্ছে কিন্তু কার্যত কিছুই লাভ হচ্ছে না | ডাক্তার, বৈজ্ঞানিকরা গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে, নেতাদের রাতে ঘুম নেই | আমাদের কিছু হবে না হয়তো, কিন্তু চোখের সামনে ওদের ওই অবস্থা দেখি কি করে, আর ওরা না থাকলে আমরা কৈ ? তাই এবার গিয়ে কাজ করতে হবে, উভয় সংকট |

সরস্বতী, গিয়ে প্রথমে বৈজ্ঞানিকদের সঙ্গে মিটিং করবি, Vaccine এর update নিবি, কি অসুবিধে হচ্ছে,  কি  কি করলে সুবিধে হয়, যাতে তাড়াতড়িও হয় আবার quality issue না হয় | দরকার হলে নিজে lab এ ঢুকে যাবি,  ওষুধ বের করতেই হবে |

কার্তিক, সমস্ত দেশের সামরিক বাহিনী আর নেতৃত্বদের নিয়ে বসবি, এই সময় আর যেন যুদ্ধ ইত্যাদি না করে | দেশের internal conflicts গুলোকে এখন ঠান্ডা রাখতে বলবি, লোকে এমনি অস্থির |

গনেশ, প্রথমে সমস্ত বাণিজ্যপতিদের সঙ্গে দেখা করে এই আর্থিক দুর্যোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার পথ খুঁজে বার করবি | লোকের রোজগারের রাস্তা কিভাবে আবার খুলে দেয়া যায় সেটা দেখা

সব চেয়ে জরুরি | মানুষকে আবার নিজের পায়ে দাঁড় করাতে হবে |

দ্বিতীয়, ওষুধ বেরোলে সেটা কি করে লোকের হাতে পোঁছবে তার plan পাকা করে আসবি, কালো বাজারি হয় না যেন এই নিয়ে | কার্তিক কে সঙ্গে নিয়ে নিবি, সামরিকবাহিনী আর বানিজ্যপতিদের এক সঙ্গে এই কাজে নামতে হবে নাহলে এতো লোকের কাছে তাড়াতড়ি পৌঁছনো  যাবে না |

লক্ষী, নারায়ণের সঙ্গে details এ একটু আলোচনা করবি, কি অসুবিধে, কি করা যাবে কি ভাবে করা যাবে | In fact  বাণিজ্যপতিদের সঙ্গে meeting এ তুই গনেশের সঙ্গে যাবি, দুজনের পরামর্শ লাগবে এখান থেকে বেরোতে |

এইটুকু তোরা কর, বাকি আমি দেখি কি করতে পারি | যাওয়ার আগে আমি ব্রহ্মা আর নারায়ণের সঙ্গেও একবার দেখা করবো, ওঁদের কি মতামত, শেষমেষ তো ওরা আর তোদের বাবা মিলিয়ে final  management  decision  হবে | বিশ্বকর্মার সঙ্গেও দেখা করতে হবে, উনি তো আগে ঘুরে আসছেন, কি দেখলেন, কি মতামত, সবচেয়ে বড় হলো এরকম বিপদ এলো কি করে, আগে কি উপায় যাতে ভবিষ্যতে না আসে এরকম কিছু |

তারপর সব শেষে তোদের বাবার সঙ্গে কথা বলবো, সে তো আবার আপন ভোলা লোক, কি ভাবে কি করে কেউ বোঝে না, নিজেও বোঝে কিনা আমার মাঝে মাঝে doubt হয় | আমি তো corporate angle এ দেখি না, হাজার  হোক আমার বাবার বাড়ির লোক, তাদের প্রতি আমার একটা দায়িত্ব আছে, কি ভাববে তারা, কত আশা ওঁদের আমাকে ঘিরে |"

দুর্গা থামলো, থমথমে পরিবেশ, সকলেই বুঝলো খুব কঠিন সময়, উপায় বের না করলেই নয় |

এই গাম্ভীর্য্য হালকা করতে গনেশ পেটে হাত বোলাতে বোলাতে বলে ওঠে "তা যাই বল মা, মামারবাড়ি যাবো, দুটি ভালো মন্দ খাবো না, নতুন জামা পরব না ? বছরে একবারই তো যাই ! "

দুর্গা মৃদু হেসে, গনেশ এর কান মুলে দেয়...বলে..."এবার আমরা পুরোনো যা আছে তাই পরে যাবো, যদি কেউ কিছু দেয় পরব, নাহলে পুরোনো যা পেয়েছি | মামারবাড়িতে এবার কে পরতে পারবে কে পারবে না জানি না, ওদের  সামনে এবার সাজগোজ করে যাবো না | "

লক্ষী : ঠিকই বলেছো, সম্বরণ করতে হবে, এটাই এবারের Theme |"

সকলের অট্টহাসি |

দুর্গা : মামারবাড়ি যাচ্ছিস, আদরের অভাব হবে না, মন খুলে আদর যত্ন করবে, আড়ম্বর করতে পারবে না | তোরা মানিয়ে নিবি, প্রতি বছর তো কত কি দেয়, কত কি করে, এবার শুধু ভালোবাসা তা নিয়ে আয় | আর কাজগুলো করে ওদের উপকার কর | বৈজ্ঞানিকরা অনেক করছে, কিন্তু এবার মিলিত প্রচেষ্টার সময় এসে গেছে | জাত ধর্ম, দেশ সবার উপরে,  মানবিকতার ধর্মের পরীক্ষা এবার |

আবার নিস্তব্ধতা

"ভাত হয়ে গেছে তোরা স্নান করে নে, খাবার সময় হয়ে গেলো |"

একে একে সকলের গাত্রোত্থান |


Picture Courtesy : Google

Disclaimer : The story is fully fictitious & based on personal imagination of social & cultural context and trends. This is not intended to hurt anyone's feeling & sentiment.


Sunday, July 19, 2020

"Virtual Reality"

COVID-19 has brought into the forefront the most challenging scenario, What Next? Into more than 6 months of the pandemic, no one perhaps has the answer at the moment. But one important lesson learnt....perhaps nothing (even life) cannot be taken for granted any longer. Thoughts like 'it never happened' is now out of the window. The infinite probabilistic intangible options are now all feasible events/doubts in human mind. This time of 6-18 months is a not a big time for the History of Human Race but the day-to-day challenges individuals face will have a long drawn effect on their minds. The greatest irony... Socialization, which has helped & nurtured growth of human civilization, has now a real time threat for Life.

Shocking

Amidst the effects, side effects of Covid-19 & the uncertainties of Life, the following news comes to me as a shock. It seems that only a Homo Sapien is a first order citizen of the planet. 


Based on an assumption we are planning of almost completely eradicating a species for sake of Human Safety. Community transmission is happening in human society as well. Hope we are we are not thinking that way!!!

Though not an intrinsic animal lover but such Slaughter sounds Cruel-Kindness, leave aside the Ecological damage.

Possibilities, Opportunities Challenges & Uncertainties

As always Balance Sheets will decide the fate of Global Business Policies & eventually the scope & mode of employment. For a short time the Uncertainties will baffle the individual minds till things start falling into a shape.

                                    Picture Courtesy : Bradley Hook @ www.pexels.com

Jobs which essentially require just a working space within a brick-mortar set-up & a robust IT set up might totally or in a large percentage go to a Work-From-Home Mode, so long as productivity remains unaltered. This would straightaway mean a 3-fold profit for the Flagships, perhaps lesser infrastructure spending (robust IT vs retail space), but certainly Eco-friendly paper less culture & reduced power consumption.

On a daily basis this would mean that electronic communication have to be more & more S.M.A.R.T. & the information flow (specially for manufacturing & construction industries) have to be Clear & Error free, possibly more with Diagrams & Figures than words. This system is already prevalent in off-shore business model & hence should not be an issue applying it within the local office correspondences in lieu of papers moving from table to another.

Hence, the challenges will be different & role of Team Leaders will get more critical as they have to adapt to the changing environment and at the same time encourage their Team to update themselves to the new skills.

In the long run such situations might create a new Wave of employment, where few individuals will be considered as Core Team Members while majority of the Work force have to work on Project Specific Contracts, contrary to current scenario. At the same time this Work Force will be available for any Flagship as Geographical Constraints might no longer be a barrier. So, uncertainty & opportunity both might grow & possibly sort of short term instability. Organizations will have a challenge too!!! 

Or perhaps all the above will be redundant, a new possibility may come up, like extensive use of A.I. & Robots, so the new challenge might be to adapt to something new, out of the box. Skill sets might be needed to be reviewed & updated after every 4-5 years which might get difficult for normal persons after a particular age. Hence, the possibility of auto-development of redundant pool of skilled force looms large.

We really don't have an answer now.

Virtual Space vs Real Touch

Religion, Society, Nations, Organizations are basically ideas or concepts developed for human progression within specific norms. So, these are basically Virtual Entities yet Real Requirements of the World, much like the Virtual Money of Credits, Debits, Assets etc. The need of Globalization has allowed a cross movement of Humans from one Space/Concept to another & hence new Concepts have come up.

In this fast changing times the maximization of use of virtual space (clouds etc) is already the latest trend & will only go on increasing. But so far what was there, that Human Connect, is still there. One has to visit a school/college/institution to learn, go to a doctor for treatment, go to work to do a job for someone else. So, while someone was working for his/her requirement but indirectly he/she was working or providing service to someone else. A type of Symbiotic Requirement. 

Time will tell whether that Human Touch will survive or not, I guess it will but in a different mode. Only the requirement of repeated formatting of the brain, to adapt to new approaches at a very fast pace, much faster than we can even think of now, might have a telling effect on the mental health. Hard to evaluate now, but what keeps me wondering is...in less than 20 years...use of Film Rolls (for photography & videography), audio cassettes, floppy-cd-dvd-hard-disc all have faded faster than we have acknowledged. Along these the associated skill (and perhaps some skilled force) became redundant too!!!

"Change is the only constant".

Dangal

There are not many days when deep into the night the Country kept staring at the TV set or the Mobile Screen without the prospec...